প্রকাশ: ২০২০-০৩-১০ ১৬:৪৬:৩০ || আপডেট: ২০২০-০৩-১০ ১৬:৪৬:৩০
নিজস্ব প্রতিনিধি::
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে করোনা প্রতিরোধে এত দিন ইনফ্রারেড হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা হচ্ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার পর নড়ে বসেছে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই বিমানবন্দরে স্থাপন করা হয়েছে নতুন থার্মাল স্ক্যানার। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে উড়োজাহাজে নতুন ২টি স্ক্যানার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর নতুন স্ক্যানারটি সচল করার কাজ শুরু করে কারিগরি টিম।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোতাহার হোসেন বলেন, নতুন থার্মাল স্ক্যানারটি ফিটিংসের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানারেই করোনার লক্ষণ আছে কিনা দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি ফ্লাইটে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ হাজার আর্ন্তজাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে আর্ন্তজাতিক যাত্রী প্রায় দেড় হাজারের মতো। যদিও শাহ আমানতে চীন থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট আসে না। তবে চীনের অনেক যাত্রী দুবাই, আবুধাবি, দোহা, মাসকাট ও ভারত হয়ে চট্টগ্রামে আসেন।চট্টগ্রাম ঘিরে বড় উন্নয়ন প্রকল্পে প্রচুর চীনা নাগরিক কর্মরত থাকায় তারা ওইসব দেশ ট্রানজিট বা ফ্লাইট পরিবর্তন করে যাতায়াত করেন।শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সোমবার (৯ মার্চ) পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬৩১ জন আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৪৩৫ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।