প্রকাশ: ২০২০-০৩-১৪ ২১:০৪:৫৭ || আপডেট: ২০২০-০৩-১৪ ২১:০৪:৫৭
নিজস্ব প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিন অফিস-আদালত খোলা রাখা ও গাড়ি চলাচল চালু রাখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও কল-কারখানাগুলো ভোটের দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোটের দিন দূর-দূরান্ত থেকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন না। অনেকে প্রতিবাদস্বরূপ ভোটকেন্দ্রেই আসেন না। সে কারণে আমরা চিন্তা করেছি, ভোটের দিন সীমিত আকারে যানবাহন চালু রাখবো। তবে যানচলাচল পুরোপুরি উন্মুক্ত হবে না। আমরা সীমিত আকারে যানচলাচল চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর আগে সিটি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ আসে। পোলিং এজেন্ট নিয়ে অভিযোগ আসে। পোলিং এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না, এই অভিযোগগুলো আমরা বিভিন্নভাবে পর্যালোচনা করি। যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন তাদের অত্যন্ত নির্ভরশীল ব্যক্তি পোলিং এজেন্ট। তিনি প্রার্থীর প্রতিনিধিত্ব করেন, অনিয়ম প্রতিহত করেন। এখন অভিযোগ আসে, এজেন্টদের কেন্দ্রে আসতে দেয়া হয় না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্মকর্তাদের প্রতি সিইসি বলেন, যখন একজন পোলিং এজেন্ট কেন্দ্রে যাবে, তার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের গ্রহণ করতে হবে। এজেন্ট যদি কেন্দ্রে না যায়, আপনাদের আমাদের তো কিছু করার থাকে না।
প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, এজেন্টদের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। আপনারা জোরপূর্বক হলেও কেন্দ্রে এজেন্ট পাঠাবেন। সুষ্ঠু ভোটের জন্য এজেন্ট দরকার। সবার সহযোগিতায় আমরা সিটি নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করবো, অবাধ করবো।
তিনি বলেন, এজেন্ট যাওয়া-না যাওয়া এটা প্রার্থীদের বিষয়। তবে ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট গেলে তাকে বের করে দেয়া হয়, এ ধরনের ঘটনা গত নির্বাচনে হয়নি।
বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।