প্রকাশ: ২০২০-০৫-২৫ ১৬:০৯:৩৪ || আপডেট: ২০২০-০৫-২৫ ১৬:০৯:৩৪
নিজস্ব প্রতিনিধি::
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি (৩৪) নামে এক চিকিৎসক করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার (২৫ মে) ভোর ৬টার দিকে চমেক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।
আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৬ মে) শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি প্রথমে কেবিনে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় শনিবার (১৬ মে) দুপুরে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০/৯২ এর উপরে না উঠায় মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাও দেওয়া যাচ্ছে না। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিলেন। এরপরও স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় ঢাকায় নেওয়ার জন্য রোববার (১৭ মে) এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কল করা হয়। রোববার (১৯ মে) বিকেলের দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এসে মাঠে অবস্থান নেয়।
এসময় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওই চিকিৎসককে তোলার সময় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষ জানতে পারে তার করোনার লক্ষণ রয়েছে। পরে তাকে না নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি চলে যায়। জাফর হোসাইনের করোনার প্রথম বার নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছিল। পরে পরীক্ষার জন্য আবারও নমুনা নেওয়া হয়েছে।
বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী জানান, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের আমাদের এক চিকিৎসক করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে মৃত্যু বরণ করে। তিনি প্রথম চিকিৎসক চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করি।
সোমবার (২৫ মে) সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭১০ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে ১ হাজার ৩০৬ ও উপজেলায় ৩০৪ জন।