প্রকাশ: ২০২০-০৭-১৯ ১৪:০১:৩২ || আপডেট: ২০২০-০৭-১৯ ১৪:০১:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক::
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোড়গোড়ায় জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয় পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশগুলোর কোথাও এই ব্যবস্থা নাই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ৯৬ সালে প্রথম দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ কেন কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করল, সেই কারণে তারা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিলেন। বিএনপি যে জনগণের জন্য ভাবেননা, সেটির উদহারণ হলো তারা শুধুমাত্র দলকানা নয় দলকানা হতে গিয়ে জনগণেরও বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।
শনিবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে ইউজিডিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ এবং ২৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েকবছর আগে আঞ্চলিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের একটা সম্মেলন বাংলাদেশে হয়েছিল। সেখানে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যেভাবে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে, এটি থেকে অনেক দেশ শিখতে পারে।
তিনি বলেন, মানুষকে আরো ভালোমতে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আরো শক্তিশালী করার জন্য স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। একইসাথে প্রধানমন্ত্রী শিশু কিশোরদের জন্য স্কুল শিক্ষা অবৈতনিক করেছেন, এবং ছাত্রীদের জন্য ডিগ্রী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোন মা কোনদিন ভাবেনি তার সন্তান স্কুলে গেলে মোবাইলে টাকা চলে আসে। বাংলাদেশে দেড়কোটি মা মোবাইলে টাকা পান, কারণ তাদের সন্তানেরা স্কুলে যাই। এটি পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে কিনা আমার জানা নেই। নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। যা অন্যান্য অনেক দেশের জন্য এটি উদাহরন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর প্রধানমন্ত্রী সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করছেন। যেকারণে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার সমগ্র পৃথিবীতে হাতেগোনা যে কয়টি দেশে সবচে কম তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার চায়না এবং ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আহবান জানিয়েছিলেন সবাইকে সম্মিলিত ভাবে এই দূর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য। আজকে যারা সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হাত প্রসারিত করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা যদি সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্ঠা চালায় তাহলে করোনা ভাইরাস কেন যেকোন দূর্যোগ আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে পারবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রেহানুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আসলাম খাঁন, চট্টগ্রাম মহানগর রেড ক্রিসেন্টের সাধারন সম্পাদক আবদুল জব্বার প্রমুখ।