প্রকাশ: ২০১৮-০৮-৩১ ১৮:৩০:০৪ || আপডেট: ২০১৮-০৮-৩১ ১৮:৩০:০৪
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোটগঠন তৎপরতায় বেশ অশ্বস্তিতে রয়েছে সরকার। রাজনীতির নয়া এ মেরুকরণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকেরা। একই সাথে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নানা কৌশলে এসব জোটকে মোকাবেলা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও সরকারের সূত্রগুলো জানায়, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের বিকল্প একটি কার্যকর জোট আশা করেছিল সরকার। সে লক্ষ্য পূরণে বিএনপি জোটের বাইরে থাকা সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে টার্গেট করে তাদের নানা তৎপরতাও চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে।
কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে বৈঠক করেন বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টি ও নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্ট নেতারা। বৈঠকে নানা ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছান তারা। বিশেষ করে আগামী নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ করার দাবি এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারে একমত হন উপস্থিত নেতারা। ওই বৈঠক এবং সেখানে গৃহীত সিদ্ধান্তের পর খানিকটা নড়েচড়ে বসেছেন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন সরকার। গতকাল গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সাথে আলাদা বৈঠক করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, রাজনীতির নয়া এ মরুকরণকে মুখে মুখে সাধুবাদ জানালেও মোটেও খুশি নন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। সে জন্য যুক্তফ্রন্টসহ নতুন এ জোটকে বিরাজনীতিকরণের অংশ বলে আখ্যায়িত করছেন তারা। একইসাথে জোটের উদ্যোক্তাদের নানাভাবে কড়া ভাষায় সতর্ক করা হচ্ছে।