প্রকাশ: ২০২০-০৩-০৯ ১৭:১৪:৪৩ || আপডেট: ২০২০-০৩-০৯ ১৭:১৪:৪৩
নিজস্ব প্রতিনিধি:
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান মেয়র প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪ টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যেও নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এসময় চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, মেয়র প্রার্থীরা প্রতিটি থানায় একটি করে প্রচার কার্যালয় স্থাপন করতে পারবেন। তিনি বলেন, নির্বাচন একটি উৎসব। এই উৎসব যেন সংঘাতে পরিণত না হয়। যদি কেউ নির্বাচনি বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা ও বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন মোমবাতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম হাতপাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর আম এবং ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ চেয়ার প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নৌকা প্রতীক উন্নয়নের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক। চট্টগ্রামে যেসব মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরবো এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো। চট্টগ্রামকে একটি সুন্দর, নান্দনিক, জঞ্জালমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমি এ শহরকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় প্রচার প্রচারণায় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনো ভাইরাস ভোটের মাঠে কোনো প্রভাব পড়বে না। যতটুকু পারি সতর্কতা অবলম্বন করবো।
রেজাউল বলেন, চট্টগ্রামে তরুণদের বিনোদনের সমস্যা রয়েছে। যানাজটের সমস্যা রয়েছে। রাস্তাঘাটের সমস্যা রয়েছে। আরো অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা নিয়ে আমি বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। প্রতিদ্বন্দ্বী সবাইকে সমানভাবে দেখছি।
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি, ভোটের মাঠে ইসি ও পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করবে। ছোট ছোট ব্যানার পোস্টার করার কথা বলা হয়েছে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটা কাজে লাগাবো। আমি নগরপিতা নয়, নগরের সেবক হতে চাই।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে প্রচারণায় করোনো ভাইরাসকে গুরুত্ব দেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে রবিবার করোনো ভাইরাস আক্রান্ত তিনজন রোগী পাওয়া গেছে। তাই করোনো ভাইরাসে যেন কেউ শঙ্কিত না হয় সেটাও আমার প্রচারণার অংশ হবে। আমাদের প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগাবো।
ডা. শাহাদাত বলেন, আমি সব প্রতিদ্বন্দ্বিকে সমান চোখে দেখি। নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে একটি জনবান্ধব, বাসযোগ্য শহরে পরিণত করবো। শাহ আমানাত মাজার থেকে প্রচারণা শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে রবিবার (৮ মার্চ) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মোট ৫৩ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এতে ভোটের লড়াইয়ে আছেন মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৬১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।