প্রকাশ: ২০২০-০৩-২৪ ১২:৫৭:০২ || আপডেট: ২০২০-০৩-২৪ ১২:৫৭:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। মঙ্গলবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিও বার্তায় একথা জানান। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার দেশবাসী, জনগণ, যাত্রীসাধারণ, মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছে যে, আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহনে কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না বলেও ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
এদিকে,আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়াতে সারাদেশে যাত্রীবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে পণ্যবাহী লঞ্চ চলাচল করবে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) জাহাঙ্গীর আলম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজ থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ এসেছে। তবে পণ্যবাহী লঞ্চ চলবে। পরবর্তী নিদের্শ না নেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানান তিনি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত প্রাণসংহারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাড়ে ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশেও প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানানো হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত ৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন দুইজন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচজন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলার অংশ হিসেবে গণপরিবহন ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ কারণে এরই মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জেলার পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় মালিক ও শ্রমিকরা। কেন্দ্রীয়ভাবেও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে মালিক ও শ্রমিকরা। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, করোনা আতঙ্কে যাত্রী কমে যাওয়ায় পরিবহনের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তবে পুরোপুরি বন্ধের বিষয়ে তারা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। পরে সরকারের পক্ষ থেকে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা এলো।