প্রকাশ: ২০২০-০৪-৩০ ০০:১৪:৩৫ || আপডেট: ২০২০-০৪-৩০ ০০:১৪:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের নগরীর টেরিবাজারের এক দোকান কর্মচারির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি করার পাশাপাশি তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তি গিরিধারী চৌধুরী (৫৮) টেরিবাজারের প্রার্থনা বস্ত্রালায়ের কর্মচারি। তিনি পটিয়ার মধ্যম হাঁইদগাঁও এলাকার মহেন্দ্র সাধুর ছেলে।
অভিযোগ উঠেছে কোতোয়ালী থানার এসআই কামরুলের বেধড়ক পিটুনীতে সে মারা যায়।
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই এলাকায় টহল টিমে থাকা কোতোয়ালী থানার এএসআই কামরুল ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে নগরীর টেরিবাজার মহিউদ্দিন মার্কেটের প্রার্থনা বস্ত্রালয় থেকে বস্তাভর্তি পণ্য বের করার সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী গিরিধারী চৌধুরীকে (৬৫) ধরে স্থানীয় বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে পুলিশের ভাষ্য।
এ ঘটনায় কোনো গাফিলতি বা অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা তদন্ত করতে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে তিন সদস্যকের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।তদন্ত কমিটিতে সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, বর্তমানে টেরিবাজার এলাকার সব দোকান বন্ধ। এসময় সবাইকে দোকান বন্ধ রাখতে কড়া নির্দেশনার পরও ঐ দোকানের কর্মচারী দোকান খুলে মাল নিয়ে যাওয়ার সময় সমিতির নিরাপত্তা প্রথমে তাকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী থানার পুলিশ এসে তাকে ধরে পুরাতন বক্সিরবিট মসজিদের কোনে নিয়ে গিয়ে তার মালিককে আসার জন্যে বলে। ইফতারের আগে সেই কর্মচারী পাশের একজনের কাছে পানি চেয়েছিলো বলে আমি শুনেছি, পরে সে সেখানেই সে মারা যায়।”
এদিকে এই ঘটনার পর পর সেখানের দোকান কর্মচারীরা বিক্ষোভ করে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মান্নানের নির্দেশেই সেই কর্মচারীকে নিরাপত্তাকর্মীরা আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে।
পুলিশ আটক করে থানা কিংবা ফাঁড়িতে না নিয়ে কেন সেখানে নিয়ে গেছে জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মান্নান বলেন, আমি শুনেছি তাকে আটকে রেখে তার মালিককে আসতে বলা হচ্ছিলো।
এই বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এর সাথে কেউ সম্পৃক্ত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশের মারধরের শিকার হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ নাকচ করেন ওসি।