প্রকাশ: ২০২০-০৫-০৭ ১৬:১৪:২১ || আপডেট: ২০২০-০৫-০৭ ১৬:১৪:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা রোগীদের জন্য সংস্কার করা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এজন্য আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করছি। প্রতিটি জেলায় একজন করে সচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে এখনো পরিস্থিতি ভালো ঢাকা অঞ্চলের তুলনায়। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল আমরা সভা করার পর সংত্রমণ তিনগুণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ইতিমধ্যে করোনা চিকিৎসায় ১শ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ ইউনিট করা হয়েছে। আজকে এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করোনা রোগীদের জন্য সংস্কার করা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। সেখানে ২০ টি আইসিইউ ইউনিট ও ৬০টি আইসোলেশন বেড আছে, যদিও বেড ৮০টিতে উন্নীত করতে বলেছি। মোট ১০০ বেডের হাসপাতালটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালুর জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর আগে চারধাপে চট্টগ্রাম নগরের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত করার জন্য চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গত ৪ এপ্রিল একটি নির্দেশনা দিলেও তা মানেনি বেসরকারি হাসপাতালগুলো। তারা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি করোনা রোগীদের জন্য বিশেষ হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তরিত করে। তবে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে চালু করার জন্য লোকবল ও সরকারি সব সুযোগ চেয়ে বসে চট্টগ্রাম প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে বিপাকে পড়ে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়।
সবশেষ গত ৫ এপ্রিল চসিকের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রাইভেট ক্লিনিক মালিকদের সংগঠন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিএমএ চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের সঙ্গে মেয়র মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উঠে আসে, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি পরিচালনা করতে মাসে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যা সরকারের অনুদান ছাড়া সম্ভব নয়। এ বিষয়ে দ্রুত নির্দেশনার জন্য সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য ঐকমত্য হয় বৈঠকে।