বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর তুলনায় আমাদের স্বাস্থ্যসেবা যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ২০২০-০৫-১৪ ১৭:৩৩:১৭ || আপডেট: ২০২০-০৫-১৪ ১৭:৩৩:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি নিষেধাজ্ঞার শিথিলতার জন্য করোনার সংক্রমণ একটু বেড়ে গেলেও প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা মহামারির কারণে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ সহায়তা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের শিথিলতার জন্য হয়তো সংক্রমণ একটু বেড়ে গেছে। তবে আমি আশা করি এটাও আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো। আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সাথে তুলনা করি তাহলে আমরা বলবো আমাদের স্বাস্থ্যসেবা যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। যে কারণে এটা আমরা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তবুও আমি দেশের জনগণের প্রতি বলবো আপনারা নিজেরা আরেকটু সুরক্ষিত থা্কুন।’

সবসময় মাস্ক না পড়ে থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, সবসময় মাস্ক পড়বেন না। কারণ আপনাকে অক্সিজেন নিতে হবে। নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে। কারো সঙ্গে কথা বলার সময় বা যখন জনসমাগমে যাবেন বা বাজার হাটে যাবেন তখন পড়েন কিন্তু এমনি পড়বেন না। কারণ এটা অনেক সময় ফুসফুসের ক্ষতি করে। আমাদের শিক্ষামন্ত্রীতো ডাক্তার সেতো বলতে পারে.. যে সারাক্ষণ এটা পরে বসে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই সুরক্ষিত না। কাজেই এটা করো কাছ থেকে হাঁচি, কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যাতে সংক্রমিত না হয় সেটা আপনাকে দেখতে হবে। আপনি নিজের কাজ বা অফিসের কাজ করার সময় এটা পড়ে থাকা কিন্তু না। মাস্ক পড়তে হবে তবে যেটা দিয়ে সহজে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পরে সেটা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘এন-৯৫ মাস্ক কিন্তু সাধারণ মানুষের পড়ার জন্য না। এটা ডাক্তার, নার্স বা যারা করোনাভাইরাস রোগীকে সেবা দিবে তাদের জন্য। এটা সাধারণভাবে পড়া বা ব্যবহার করার কোন যৌক্তিকতা বা প্রয়োজন নাই। ঘরে তৈরি করা মাস্কও পড়া যায়। অর্থাৎ আপনার শ্বাস প্রশ্বাস যেন অন্যের কাছে না যায় এবং অন্যেরটা যেন আপনার কাছে না আসে সেটা সুরক্ষিত রাখার জন্যই মাস্ক পড়া। আর ওইটা হচ্ছে চিকিৎসা যারা দিবে, হাসপাতালে রোগীর পাশে থাকবে, রোগী দেখবে তাদের পড়তে হবে। কাজেই এটা অযথা না পড়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়াই ভালো। আমি জানি এটা কিছুই না। কিন্তু অতটুকু দিতে পেরেছি একটু হলেও মানুষের কাজে লাগবে বলে আমি আশা করি। দোয়া করবেন এভাবে যেন দিতে পারি।

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অসহায় মানুষদের জন্য সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অদৃশ্য করোনাভাইরাসের কারণে সবখানে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে যারা শ্রম দিয়ে জীবন চালাত, তারা অচল হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের তাদের কথা চিন্তা করে কিছু উদোগ নিয়েছি। কারণ দিনমজুর ও শ্রমজীবী যারা আছেন, যাদের খাওয়া-পরার জন্য দৈনিক কাজের ওপর নির্ভর করতে হতো, তাদের জন্য কোনো কাজ নেই। তারা শ্রম দিতে পারছে না। তাদের কিভাবে রমজান মাসে সহায়তা করতে পারি, সেটা ভেবেই আমরা কিছু অর্থের ব্যবস্থা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দিয়েছি, তারা এই কার্ড দিয়ে ১০ টাকায় চাল কিনতে পারছেন। আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতা কার্যক্রম চলছে। এর বাইরেও যারা কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না, তাদের কথা চিন্তা করেই এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ৫০ লাখ পরিবারের প্রতিটি পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে এককালীন নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই করোনার সময়, এই রোজার মাসে যারা কিছুটা হলেও উপকার পান, সে জন্যই এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমরা কমিটি করে দিয়েছি। সেই কমিটি এই ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকা বারবার যাচাই-বাছাই করেছি। দ্বৈততা পরিহার করার চেষ্টা করেছি। যারা কোনো না কোনো সহায়তা পাচ্ছেন, তাদের বাদ দিয়ে এই ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা করার চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই নগদ অর্থ সহায়তা নগদ, বিকাশ, রকেট, ও শিওরক্যাশের মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে উপকারভোগী পরিবারের কাছে। এই টাকা তুলতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার যে খরচ, সেই খরচও দিয়ে দেবে সরকার। অর্থাৎ উপকারভোগী পরিবার পুরো আড়াই হাজার টাকাই তুলে নিতে পারবে।

‘এই কর্মসূচির জন্য খরচ হচ্ছে এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা সরাসরি চলে যাবে উপকারভোগী পরিবারগুলোর মোবাইল অ্যকাউন্টে। বাকি ৭ কোটি টাকা মোবাইল সেবার খরচ হিসেবে ব্যয় হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট হতে স্নাতক পর্যায়ে ২ লাখ ০৯ হাজার ৬৭৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তি বাবদ ১০২ কোটি ৭৪ লাখ ২ হাজার ৬০০ টাকা এবং টিউশন ফি বাবদ ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে।

ক্যালেন্ডার এবং আর্কাইভ

SunMonTueWedThuFriSat
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930    
       
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
       
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031    
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
       
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031     
   1234
19202122232425
262728293031 
       
293031    
       
      1
2345678
9101112131415
16171819202122
       
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031    
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31      
   1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031