প্রকাশ: ২০২০-০৭-১৪ ১৪:০২:৪০ || আপডেট: ২০২০-০৭-১৪ ১৪:০২:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক::
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সরকারি ও বেসরকারি সবখাতে। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা চলছে চট্টগ্রামের মিরসরাই ইকোনিক জোনের কার্যক্রমে।
বিশেষ করে যেসব প্রকল্পে বিদেশি জনবল রয়েছে সেগুলো গত মার্চ মাস থেকেই তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। এরফলে বিপাকে পড়েছে ইকোনিক জোনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত স্থানীয় চাকুরিজীবী,ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা।
বিশেষ করে ঠিকাদাররা বিভিন্ন পণ্য, কাঁচামাল ও নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করেও বিল তুলতে পারেননি। বিলের টাকা না পেয়ে তারা নিজেদের পাওনা যেমন পরিশোধ করতে পারেননি তেমনি নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরিও বকেয়া পড়ে গেছে।
এমনই ক্ষতিগ্রস্ত একজন ব্যবসায়ী মিরসরাইয়ের তোফায়েল মাহমুদ। তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে বিনিয়োগ করে একটি চায়না প্রতিষ্ঠানে মার্চের শুরুতে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছেন প্রায় ২০ লাখ টাকার। ওই টাকার বিল তিনি এখনো পাননি। কখন পাবেন তাও অনিশ্চিত। বাধ্য হয়ে তিনি মাছ চাষ এবং মৌসুমী সবজি চাষে মনোনিবেশ করেছেন।
এমন আরেক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। তার বেশিরভাগের পুঁজি এখানে আটকে পড়েছে। তিনি না পারছেন বিনিয়োগ ফেরত নিতে না পারছেন তার পাওনাদারদের সামাল দিতে।
এ ব্যাপারে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মিরসরাই- প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে সবকিছুতে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। সংক্রমন কাটিয়ে ওঠা অনেক দেশ থেকে ইতিমধ্যে অনেক বৈদেশিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে। আশা করছি সংকট কাটিয়ে উঠলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবে ইনশাল্লাহ”।
স্থানীয় বিনিয়োগকারী ও ঠিকাদারদের বিল আটকে যাওয়া এবং সময়মতো পরিশোধ না হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বলার এখতিয়ার আমার নেই। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বেপজার পাবলিক রিলেশন বিভাগের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
সবকিছু মিলিয়ে করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের লেনদেন। স্থবির ইকনোমিক জোনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম, আটকে গেছে শত কোটির টাকা লভ্যাংশ ও মূলধন।