প্রকাশ: ২০২০-০৮-২৩ ০৮:০৫:৩১ || আপডেট: ২০২০-০৮-২৩ ০৮:০৫:৩১
চট্টগ্রাম ব্যুরো::
ফেনীর সোনাগাজীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) উদ্যোগে নতুন একটি খাল খনন ও তিনটি খাল সংস্কার, একটি স্লুইজগেটসহ তিনটি সেতু এবং সেচ প্রকল্প ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় উপজেলার সাড়ে চার হাজার একর অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আসায় প্রান্তিক কৃষকরা সুফল পেতে শুরু করেছেন।
উপজেলা বিএডিসির কার্যালয় সূত্র জানায়, বিএডিসির উদ্যোগে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর জেলায় ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সোনাগাজী উপজেলায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে চর চান্দিয়া ইউনিয়নে মসজিদ খাল সংস্কার নির্মাণ, চর দরবেশ ইউপিতে ভূঁঞার খাল সংস্কার, ফজল উদ্দিন ও কোয়ালিয়া খালসহ প্রায় ১১ কিলোমিটার খাল খনন ও সংস্কার করা হয়েছে। একই অর্থ বছরে উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চর চান্দিয়া এলাকায় ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি স্লুইজগেট নির্মাণ করার পাশপাশি আরও ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩টি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার আতর আলী, কোয়ালিয়া ও গুপ্তা খালের উপর ৭৮ লাখ টাকায় তিনটি ছোট সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বিএডিসির পক্ষ থেকে তাঁর ইউনিয়নে খাল খনন, স্লুইজগেট ও বেড়িবাঁধ নির্মানের ফলে এলাকায় জলাবদ্ধতা নেই বললেই চলে। জমিতে সঠিক পরিমাণ পানি থাকায় কৃষকরা রোপা আমন ধান বপণ করতে পারছেন। তিনি বলেন, বিএডিসির উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে আগামী শুস্ক মৌসুমেও তাঁর ইউনিয়নের কৃষকরা চাষাবাদে উপকৃত হবেন।
উপজেলা বিএডিসির প্রকৌশলী আবদুল বাসেত বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নতুন খাল খনন ও সংস্কার, স্লুইজগেটসহ বিভিন্ন প্রকল্প নির্মানের ফলে উপজেলার প্রায় সাড়ে চার হাজার একর অনাবাদি জমি চাষের আওতায় এসেছে। এতে কৃষকেরা দ্বিগুণ ফসল উৎপাদন করতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন।
তিনি বলেন, উপজেলার নদী উপকূলীয় দক্ষিণ চর চান্দিয়া এলাকায় জোয়ারের লোনা পানি থেকে রক্ষা ও মিঠা পানি ধরে রাখার জন্য দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে পূর্ব বড়ধলী এলাকায় একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিফটন বলেন, উপজেলায় শুষ্ক মৌসুমে পানি শূন্য্যতা ও বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার কারণে ফসল উৎপাদ ব্যহত হয়ে এ অঞ্চলের কৃষকের দুর্ভোগ লেগেই থাকতো। বিএডিসির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে এখান থেকে প্রান্তিক কৃষকরা দ্বিগুণ ফসল উৎপাদন করতে পারবে। তিনি আশা করছেন কৃষকদের উন্নয়নে বিএডিসির আরও নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।