প্রকাশ: ২০২০-১২-২৯ ০৯:৪৮:১৩ || আপডেট: ২০২০-১২-২৯ ০৯:৪৮:১৩
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ মহামারি রূপ নেয়ায় দেশটি পুনরায় ১৪ দিনের জন্য তৃতীয় স্তরের লকডাউনের ফিরে গেল। সোমবার মধ্যরাত থেকে রাষ্ট্রপতি রিসিল রামাফোসার ঘোষণা কার্যকর হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ভাষণে বলেন, আমাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালের বেড খালি নেই। আইসিইউ খালি নেই। অক্সিজেনের লাইন খালি নেই। দেশের সকল হাসপাতাল রোগী দিয়ে ভর্তি হয়ে আছে। এই মুহূর্তে আমাদের লকডাউনে ফিরে না যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
২৮ ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে দেশটির রাষ্ট্রপতি সিরিল রমাফোসা জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে এই ফের লকডাউনের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে দেশটিতে আগামী ১৪ দিন অ্যালকোহল বিক্রি, সেবন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে। লকডাউনের এই সময়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, না হয় জেল জরিমানা গুনতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, লকডাউনে সকল আউটডোর এবং ইনডোর সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। অ্যালকোহল যদিও আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখে তারপরও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা বাধ্য হয়ে বিক্রি, সেবন ও পরিবহন নিষিদ্ধ করছি।
এছাড়া কারফিউ রাত ৯টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। মঙ্গলবার থেকে সমস্ত সমুদ্র সৈকত, ড্যাম, নদী, লেক বন্ধ থাকবে। সকল পাবলিক প্যালেসে জনগণ মাস্ক পরিধান না করলে সাথে সাথে গ্রেফতার করে অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত বা ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হবে।
এছাড়া কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করা যাবে শুধুমাত্র নাইট ক্লাব মদের বার বন্ধ থাকবে। এছাড়া অন্য সকল দোকান রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
ভাষণের সময় রামাফোসা অত্যন্ত আবেগময়ভাবে বলেছেন, দেশের জনগণের আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। না হয় যে কেউ যে কোনো সময় মৃত্যুর সম্মুখীন হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় আক্রান্ত ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন গড়ে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৫শ মতো মানুষ। আর সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে প্রায় ২৭ হাজারের মতো। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিয়মিত আক্রান্ত্রের সংখ্যা গত দিনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।